খানসামায় নতুন আমন ধানে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের চোঁখে মুখে হাসির ঝিলিক। কৃষক তার উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।আবহাওয়া ফসলের অনুকূলে থাকায় এবছর ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। ফলন ভালো দেখে কৃষকের মূখে হাসি ফুটে ওঠেছে।

এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের ধানের সোনালি শীষে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত ও উঠান জুড়ে রয়েছে ধান আর ধান।


চাষীরা সকাল বেলা মাঠে ছুটে যাচ্ছেন কাস্তে-রশি নিয়ে ধান কেটে বাড়ি আনার উদ্দেশ্যে। মৃদ রোদ ও হালকা বাতাসে ভাটিয়ালী গানের তালে তারা কাজ করছেন মাঠে। কৃষকেরা কেউ ধান কাটছেন, আবার কেউ বোঝা বেঁধে মাথায় করে বা যান-বাহনে করে ধান বাড়িতে আনছেন। সেই সাথে কৃষানীরাও বসে নেই, তারাও বাড়িতে ধান মাড়াই ও ধান পরিস্কিার করে ঘরে তুলা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। এই কাঁচা ধানের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের ধান চাষী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার কিছু জমি পাটের মধ্যেদিয়ে ধানের বীজ বপন করেছিলাম এবং কিছু জমিতে ধানের বীজ রোপন করেছিলাম। এখন ধান কাটা শুরু করেছি, আগের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হচ্ছে।

আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের মেম্বারপাড়ার কৃষক শহিদ মিয়া জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ধানের বাম্পার ফলন করেছে কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু করেছে।


এ ছাড়াও আরও কয়েকজন কৃষক জানান, অনাবৃষ্টি ও বিভিন্ন কারণে আমন ধান চাষে ব্যাঘাত ঘটলেও এবার ধানের ভাল ফলন হয়েছে। আগাম জাতের ধানের ভাল ফলনে আমি খুশি। ধান তুলে ওই জমিতে সার ছাড়া শীতের সবজি ছাড়াও আলু, রসুনের প্রচুর আবাদ হয়। এ কারণেই দুই দিক থেকে কৃষকের লাভ। যদিও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক দিশাহারা। তবু্ও আশার আলো দেখছে আমন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ বাসুদেব রায় বলেন, এবছর উপজেলায় ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৩ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে ১৫ হেক্টর জমিতে চাষীরা চাষাবাদ করতে পারেনি।

কয়েকদিন ধরে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার পোকা-মাকড়ের আক্রমন কম ছিলো, আবার আবহাওয়াও অনুকূলে ছিলো। সেজন্য ধানের আশানুরুপ ফলন দেখা যাচ্ছে।